আজ, বৃহস্পতিবার


১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শিরোনাম

দিনাজপুরে সিটি কলেজের অধ্যক্ষের  বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ 

সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরে সিটি কলেজের অধ্যক্ষের  বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ 
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মোস্তাফিজার রহমান, দিনাজপুর:

দিনাজপুরে সিটি কলেজের অধ্যক্ষের একমাত্র মূলনীতি শিক্ষা খাতে দুর্নীতি দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হকের সেচ্ছাচারিতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দুর্নীতির অংগরাজ্য। অধ্যক্ষের সেচ্ছাচারিতা দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি ও আত্মীয় করনের এই দুর্নীতিতে শরীক হয়েছেন অনেক শিক্ষক ও কর্মচারী। মদক পুষ্ট কিছু শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাধ্যমে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই সে দিনের পর দিন করে আসছে অনিয়ম ও দুর্নীতি।সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক গড়ে তুলেছেন তার ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সম্প্রতি অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক সহ কতিপয় শিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে কলেজের বিভিন্ন খাতের মাধ্যমে ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন কলেজের শিক্ষার্থী ও খন্ডকালীন শিক্ষকবৃন্দ।অভিযোগ সুত্রে জানা যায় দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক তার ভাতিজা মোঃ শওকত আলীকে হিসাব রক্ষক পদে,তার বাসায় থেকে পড়ালেখা করা পালিত ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেনকে প্রধান সহকারী তার নিকঠস্থ ও আস্থাভাজন মোঃ আব্দুর রশিদকে অফিস সহায়ক একই গ্রামের বাসিন্দা এবং নিকট আত্মীয় মোঃ শামীম ইসলামকে ক্যাশ ও সহকারী স্টোর কিপার এবং তার স্ত্রী মোছাঃ আফসানা মিমিকে কম্পিউটার অপারেটর ও মোছাঃ পপিকে আয়া পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে দুর্নীতির একক রাজত্ব কায়েমের ভীত মজবুত করে রেখেছে।আর তার এই দুর্নীতিতে সায় দিয়ে ফায়দা হাসিল করছে কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলী আহমেদ,সহকারী অধ্যাপক শংকর কুমার কুন্ডু,অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দীলিপ কুমার রায় ও রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোঃ রাশিকুল ইসলাম। অভিযোগে উল্লেখিত অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক সহ কতিপয় শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ১০বছরে ৯৭লাখ টাকা আত্মোসাতের খাত সমূহ হলো ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় ধর্মীয় ফান্ডে ২লাখ ৭০হাজার টাকা,কমন রুম ৪ লাখ ৫০হাজার,আইসিটি ল্যাব ১লাখ ৮০হাজার,বিবিধ খরচ ৯লাখ,টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ৩১লাখ ৫০হাজার,বহিঃক্রীয়া ৪লাখ ৫০হাজার,ম্যাগাজিন ১লাখ ৮০হাজার,বিজ্ঞান ক্লাব ১লাখ ৮০হাজার এবং উন্নয়ন তহবিল বাবদ ১৩লাখ ৫০হাজার টাকাসহ সর্বোমোট খরচ বাবদ ৭১লাখ ১০হাজার টাকা আদায় করা হয়।এছাড়াও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাহিত্য সংস্কৃতি খরচ বাবদ ৪লাখ ৫০হাজার টাকা,উন্নয়ন তহবিল ৯লাখ টাকা,দরিদ্র তহবিল ১লাখ ৮০লাখ টাকা,চিকিৎসা সেবা ১লাখ ৮০হাজার,ব্যবস্থাপনা ফি ৪লাখ ৫০হাজার এবং বিবিধ খরচ ৪লাখ ৫০হাজার টাকাসহ সর্বোমোট ২৬লাখ ১০হাজার টাকা আদায় করলেও খরচের কোন সুনির্দিষ্ট প্রতিফলন নেই।এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সনদপত্র ও প্রশংসাপত্র উত্তোলন বাবদ,কলেজে ভর্তি ও ভর্তি বাতিল,পুনঃপরীক্ষার প্রবেশপত্র ,ধর্মীয় খরচ,কমনরুম,উন্নয়ন তহবিল,দরিদ্র তহবিলসহ অসংখ্য খাতের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় তা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন সকল সাধারন শিক্ষার্থীবৃন্দ।এছাড়াও অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে এমপিওভুক্ত অন্য কলেজের শিক্ষককে সিটি কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।যেমন বিরল উপজেলার মাইনুল হাসান কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মোঃ সহিদ আলম সিটি কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে হিসাব বিজ্ঞান ক্লাশ নেন,সদরের ঘুঘুডাঙা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ মোসলেম উদ্দিন দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজে খন্ডকালীন প্রভাশক হিসেবে ইংরেজী বিভাগের ক্লাশ নেন অথচ যেখানে ইংরেজী বিভাগে দুজন স্থায়ী শিক্ষক রয়েছে,সদরের শংকরপুর কলেজের ভুগোল বিভাগের প্রভাশক মোঃ আমিনুল ইসলাম দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজে খন্ডকালীন প্রভাশক হিসেবে আইসিটি বিভাগের ক্লাশ নেন।একই ভাবে মোঃ গোলাম রব্বানি ও মোঃ রায়হান মাহমুদ অন্য এমপিওভুক্ত কলেজ থেকে এসে সিটি কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নেন।একজন এমপিওভুক্ত কলেজের শিক্ষক কিভাবে অন্য কলেজে এসে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাশ নেয় এবং বেতন গ্রহণ করে এসব এ বিষয়ে একাধিকবার অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হককে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলেও তার দেখা মেলেনি সব মিলেই দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক ও তার মদদপুষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিস্তর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজে শিক্ষার উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি এবং দুর্নীতিমুক্ত,স্বচ্ছ ও জবাব দিহিতা মুলক প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষে দুর্নীতি পরায়ন শিক্ষক ও কর্মচারীদের দ্বারা সংগঠিত বৈষম্য ও আর্থিক অনিয়মের সুষ্ঠ তদন্তের জোর দাবী জানায় শিক্ষার্থী ও খন্ডকালীন শিক্ষকবৃন্দ।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৪৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com